• ঢাকা শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১
logo
আমুর আইনজীবীকে মারধর, যা বললেন পিপি ফারুকী
সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর আইনজীবীকে রাষ্ট্রপক্ষের কেউ মারধর করেননি বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।  শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।  ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রকৃতপক্ষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমির হোসেন আমুর পক্ষে আদালতে একাধিক ওকালত নামা দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এরপর একটি পক্ষে তাকে (আইনজীবী) আদালত থেকে বের করে দেয়। তিনি আরও বলেন, দেশবাসীকে ভুল বোঝাতে পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনার সৃষ্টি করা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার আমির হোসেন আমুর রিমান্ড শুনানিতে তার আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী মারধরের শিকার হন। পরে তিনি বলেন, আদালতে শুনানি চলাকালে আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত কোনো ব্যবস্থা নেননি। এখানে কোনো ন্যায়বিচার নেই। আমি এর বিচার চাই। আরটিভি/আইএম/এসএ
১২ ঘণ্টা আগে

অসুস্থ ওমর সানী, চাইলেন দোয়া
নব্বই দশকের ব্যস্ত নায়কদের একজন ছিলেন ওমর সানী। বর্তমানে অভিনয়ের চেয়ে নিজের রেস্তোরাঁ ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত তিনি। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন পোস্ট দেন এই অভিনেতা। এবার নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে দোয়া চাইলেন ওমর সানী। সোমবার (২৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। ক্যাপশনে অভিনেতা লেখেন, ‘জ্বর সবাই দোয়া করবেন।’  এমন পোস্ট দেওয়ার পর পরই বেশ চিন্তিত হয়ে পেড়েছেন ওমর সানীর ভক্ত থেকে শুরু করে তার সহকর্মীরাও। সবাই অভিনেতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।  সংগীতশিল্পী তিমির নন্দী অভিনেতার পোস্টের মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। অন্যদিকে অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত লেখেন, ‘ফি আমান্নিল্লাহ।’ এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে ওমর সানী বলেন, অসুস্থতা তেমন গুরুতর নয়। ঠান্ডার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারি। সর্বশেষ ‘ডেডবডি’ সিনেমা দেখা যায় ওমর সানীকে। কিন্তু ঢালিউডের বক্সঅফিসে সফলতার মুখ দেখেনি এটি। প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ায় সিঙ্গেল স্ক্রিনের পাশাপাশি স্টার সিনেপ্লেক্স থেকেও নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল সিনেমাটি। প্রসঙ্গত, ‘ডেডবডি’ সিনেমায় ওমর সানী ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন, জিয়াউল রোশান, শ্যামল মাওলা ও ভারতীয় মডেল অন্বেষা রায়।   আরটিভি/এইচএসকে-টি  
২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৪

রেগে মনি কিশোরকে প্রায়ই যে কথাটি বলতেন ওমর সানী
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মৃত্যুতে শোকাহত শোবিজ তারকারা। ১৯ অক্টোবর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে এই গায়কের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি তার।    এদিকে মনি কিশোরের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন সংগীতশিল্পী, অভনয়শিল্পীদের অনেকেই। কেউ কেউ আবার স্মৃতিচারণাও করেছেন। সে তালিকায় রয়েছেন চিত্রনায়ক ওমর সানীও। রোববার ( ২০ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মনি কিশোরকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন ওমর সানী। সেখানে স্মৃতিচারণার পাশাপাশি গায়কের একটি গানের লাইন যুক্ত করেছেন তিনি।    পাঠকদের জন্য চিত্রনায়কের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘মনি কিশোর আমার বন্ধু ছিল। তার কয়েকটা গান আমার সঙ্গে মিশে একাকার হয়েছিল। সবসময় ফোন দিত। সবসময় রাগ করে বলতাম এত রাগ-অভিমান ভালো না, গান কর। ও আমাকে বলত শুধুই তোমার জন্য গান করব, বন্ধু চলে গেলা ফাঁকি দিয়ে। কি ছিলে আমার বলো না তুমি, আছি তো আগেরই মতো এখনও আমি।’ মূলত ‘কি ছিলে আমার’ গানটিই এক সুতায় বেঁধেছে মনি কিশোর-ওমর সানীকে। তার অভিনীত ‘কে অপরাধী’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছিল এই গানটি। মুক্তির পর তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল গান ও সিনেমা দুটিই। প্রসঙ্গত, ক্যারিয়ারে পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মনি কিশোর। ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে মনি কিশোরের; যার প্রায় সবগুলোই ছিল হিট। রেডিও ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি। মনি কিশোরের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’সহ আরও অনেক। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা ও লেখা। ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন মনি কিশোর। আরটিভি/এইচএসকে/এসএ  
২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫০

শটগান দিয়ে মৌসুমীকে ভয় দেখাতেন ওমর সানী
ঢাকাই সিনেমার তারকা দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমী। নব্বইয়ের দশক থেকে দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন তারা। একসঙ্গে জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা। বাস্তব জীবনেও এই জুটির বন্ধন অটুট। তবে সানীকে ভয় পেতেন মৌসুমী। সানীও শটগান দিয়ে ভয় দেখাতেন মৌসুমীকে। সংবাদমাধ্যমকে বিয়ের আগের গল্প শোনাতে গিয়ে এ রকম তথ্য দিয়েছেন জনপ্রিয় এই নায়ক।  আপনি নাকি মৌসুমীর শুটিং সেট লক্ষ্য করে বন্দুক উঁচিয়ে গুলির ভয় দেখাতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সানি বলেন, ‘এটি একটি প্রোপাগান্ডা বা গুজব। ১৯৯৫ সালের আগের ঘটনা। আমি তখন ভারত থেকে একটি শটগান কিনে আনি, যা ছিল খেলনা শটগান। তবে দেখতে অবিকল শটগানের মতো ছিল। এটি দিয়ে আমি একদিন মৌসুমীকে ভয় দেখাই। কীভাবে ভয় দেখিয়েছিলাম সেটি এখন ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি। আমি তখন মহাখালী ডিওএইচএস থাকি। মৌসুমীও একই এলাকায় থাকে। আমার বাসা থেকে ওর বাসা দেখা যেত। তো আমি ল্যান্ডফোনে ওর বাসার নম্বরে কল দিই। এরপর মৌসুমীকে কথার ছলে আমি আমার খেলনা শটগানটি দূর থেকে দেখিয়ে বলি গুলি করলাম, এই করলাম গুলি। ও এই বিষয়টি নিয়ে পরে আমার বন্ধু পরিচালক উত্তম আকাশকে বলে, সানী ভাই আমার সঙ্গে কেমন করে দেখেন... এইতো। এ ছাড়া তেমন কিছু নয়। তখন বয়স কম ছিল, অনেক কিছুই করতে মন চাইত।’  সানী আরও বলেন, ‘আমি তখন ফার্মগেট থাকি। সকাল ৮টা কি ৯টা বাজে। বাসার বাইরে তাকিয়ে দেখি একটি মাইক্রোবাস এসে থামল। মাইক্রো থেকে মৌসুমী দৌড়ে নামল। সোজা আমার বাসায় এসে বলে, ‘সানী ভাই আপনি ঠিক আছেন?’ তারপর আমি তাকে প্রশ্ন করি, ‘কেন, কী হয়েছে?’ উত্তরে সে বলে, ‘তেমন কিছু না। আপনাকে নিয়ে খারাপ একটি স্বপ্ন দেখেছি, তাই দেখতে আসলাম।’  জনপ্রিয় এ নায়ক আরও বলেন, ‘ওই দিনই আমি সিদ্ধান্ত নিই বিয়ে করলে এ মেয়েকেই করব। এমন অনেক ভালোবাসার ঘটনা আছে আমাদের। যেসব কথা মনে পড়লে হাসি পায় এবং ভালোও লাগে।’ ১৯৯৪ সালে পরিচালক দিলীপ সোম মৌসুমী-ওমর সানীকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘দোলা’ নামের সিনেমা। এ সিনেমা দিয়েই একসঙ্গে পথচলা শুরু এ জুটির। এরপর বহু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা। মৌসুমী-ওমর সানী জুটির উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো ‘আত্ম অহংকার’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘মুক্তির সংগ্রাম’, ‘হারানো প্রেম’, ‘গরিবের রানী’, ‘প্রিয় তুমি’, ‘সুখের স্বর্গ’, ‘মিথ্যা অহংকার’, ‘ঘাত প্রতিঘাত’, ‘লজ্জা’, ‘কথা দাও’ ও ‘সাহেব নামে গোলাম’। ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট ভালোবেসে বিয়ে করেন ওমর সানী-মৌসুমী। প্রায় তিন দশক হয়ে গেছে দাম্পত্য জীবনের। তাদের সংসার আলো করে আছে পুত্র ফারদিন এহসান ও কন্যা ফাইজা। ছেলে দেশেই থাকেন। বিয়ে করেছেন। স্ত্রীর নাম আয়েশা। আর কন্যা ফাইজা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আরটিভি /এএ/এসএ
১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:১৯

সেন্সর বোর্ডের সংস্কার ও পুনর্গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
কয়েক দিন আগে পুনর্গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। কিন্তু ১৫ সদস্যের এ কমিটির সংস্কার ও পুনর্গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা-প্রযোজকরা। একই সঙ্গে সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের দাবিও জানান তারা। এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, নতুন সেন্সর বোর্ডে আমাদের অনেক সিনিয়র পরিচালক আছেন, তাদেরকে যুক্ত করলে সুন্দর হতো। এখনও বিশ্বাস করি, সার্টিফিকেশন বোর্ড তৈরি হবে। আর যদি না হয়, তাহলে সেন্সর বোর্ডে আমাদের চলচ্চিত্রের সিনিয়র নির্মাতাদের যুক্ত করে বোর্ড গঠন করলে চলচ্চিত্রের জন্য ভালো হবে। কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে সেন্সর বোর্ড গঠন হয়ে আসছে। সবার দাবি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে অনৈতিক কিছু হোক সেটা আমরা কেউ চাই না। আমাদের চলচ্চিত্র একই জায়গায় বন্দি হয়ে আছে। বিগত দিনে এটার পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি। এটা দেখানো যাবে না, ওটা দেখানো যাবে না। একই জিনিস দর্শক আর কত দেখবে? ভালোকে ভালো আর মন্দকে মন্দ যদি দেখাতে না পারি, তা হলে দর্শক কেন দেখবেন? অভিনেতা বলেন, সেন্সর বোর্ডের মেম্বার হওয়ার জন্য অনেক অভিজ্ঞতা দরকার। কিন্তু নবগঠিত সেন্সর বোর্ডের অনেককে আমি চিনিই না। এটা আমার ব্যর্থতাও হতে পারে। কেন চিনব সেটাও আমার এক ধরনের প্রশ্ন। আমরা সিনেমার মানুষেরাই যদি না চিনি। সেই আগের মতোই যদি হয়ে যায়, তাহলে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন হয়ে লাভটা কি? আমি স্বপ্ন দেখি, আগামীর চলচ্চিত্র অনেক ভালো হবে। সেন্সর সার্টিফিকেশনের পাশাপাশি সিনেমাহলগুলোও বাড়ানো দরকার। প্রযোজক সামসুল আলম বলেন, নবগঠিত সেন্সর বোর্ড দেখে আমি হতাশ। দুই-চারজন ছাড়া যাদের নাম দেখলাম, তাদের একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। আমি উনাকে চিনি না। একজন মালেক আফসারির সিনেমা, একজন কাজী হায়াতের সিনেমা চলবে কি চলবে না এটা কে সিদ্ধান্ত দেবে এটা ভেবে দেখতে হবে।  তথ্য উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি সেন্সর বোর্ড বাতিল করে সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড করা হোক। গ্রেটেশন করে দিন আমাদের চলচ্চিত্রকে। আর ওই গ্রেডেশন বোর্ডেও যারা থাকবেন তারা যেন চলচ্চিত্রের মানুষদের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হয়। তাদের নিয়ে যেন কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে।  এদিকে সার্টিফিকেশন আইনের পক্ষে কথা বলেছেন নতুন সেন্সর বোর্ডের দুই সদস্য নির্মাতা আশফাক নিপুণ এবং অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদও। আগে থেকেই সেন্সর বোর্ডের বিপক্ষে অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে নতুন কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন নিপুণ।  প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পুনর্গঠিত সেন্সর বোর্ডে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করা হয়। এ ছাড়া নিপুণ ও নওশাবা ছাড়াও সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন,  নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু, খিজির হায়াত খান, তাসমিয়া আফরিন মৌ, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক রফিকুল আনোয়ার রাসেলকে। আরটিভি/এইচএসকে  
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৪

চড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, ডিবিতে ডাকা হয়েছিল সানীকে
ঢালিউডের নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী। বর্তমানে খুব একটা বেশি পর্দায় দেখা যায় না তাকে। ব্যস্ত রয়েছেন নিজের ব্যবসা আর পরিবার নিয়েই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পোস্ট করেন তিনি।  তবে সেই পোস্টই যেন একবার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওমর সানীর জন্য। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে চড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। এতেই বাঁধে বিপত্তি। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সেই পোস্টকে কেন্দ্র করেই ডিবি অফিসে ডাক পড়েছিল তার।   সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আরেকটি পোস্টে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন ওমর সানী। তিনি সেখানে লিখেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে অনেক কথা বলেছিলাম, তার জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছিল। এমনকি মিন্টু রোডেও যেতে হয়েছিল। আমি বলেছিলাম এটা ডিলিট করব না, অনেকদিন আগের কথা।    অভিনেতা আরও লেখেন, চলচ্চিত্রের নামকরা ‘চামচারা’ আমার বিরুদ্ধে লেগেছিলেন। দু-একজন দালাল আমার পরিবারের বিরুদ্ধে লেগেছিল, আজকে গা-ঢাকা দিয়েছেন তারা। তোদের জন্য শান্তি হারাম।’   জানা গেছে, গেল বছর সেপ্টেম্বরে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির ফলে বিরক্ত হয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ওমর সানী। তিনি লিখেছিলেন, রাষ্ট্র বলে দেন আমরা কী খাব? খাবারের লিস্ট দিয়ে দেন, আর পারছি না।  মূলত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় জড়িত থাকায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায় প্রভাব পড়ায় পোস্টটি দিয়েছিলেন ওমর সানী। সে সময়ে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল।    
১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৮

মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে মুখ খুললেন ওমর সানী
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চেক ডিজ-অনার মামলায় নায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে। জানা গেছে, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১ লাখ ৬ হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজ-অনারের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে অভিনেত্রী আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তার গুলশান-১-এর বাসায় এ সমন পাঠানো হয়। সেখান থেকে সমন ফেরত গেলে ২৮ এপ্রিল তার বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় ফের সমন পাঠানো হয়। এদিন সমন জারি হওয়ায় তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এ বিষয়ে এক গণমাধ্যমকে মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানি বলেন, এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার শতাধিক ঋণখেলাপিকে আমি চিনি। দু, চার, পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তারা পরিশোধ করেনি। সেখানে মৌসুমীর কয়েক লাখ টাকার ঋণের বিষয়টি মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেছে! এটা মৌসুমীকে অসম্মান ও অপদস্থ করা ছাড়া আর কিছুই নয়। ওমর সানি বলেন, ওর নামটা যেহেতু মৌসুমী, তা ভাইরাল করার চেষ্টা করল। সামান্য কিছু টাকার জন্য মৌসুমীকে যদি অসম্মান করা হয়, তাহলে অন্য কোটি কোটি ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন। তাই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আইনগত সমাধানের চেষ্টায় সমাধান করবেন বলে জানান তিনি। এর আগে ঘটনা প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেছিলেন, আমরা একটি গাড়ির লোন নিয়েছিলাম। প্রতিমাসে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। তবে সম্প্রতি এক প্রতারকের কারণে আমি ও আমার সন্তান ব্যবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছি। যে বিষয়টি নিয়ে আমাকে আদালতেও যেতে হয়েছে। এমন অবস্থায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডকে আমি একটি চিঠি দেই, এটা উল্লেখ করে- প্রতি মাসে যদি ৫০-৬০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য সহজ হবে। যেহেতু এখন একটা অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন মৌসুমী। বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েকে নিয়ে থাকছেন তিনি। এর মধ্যেই নায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়
১১ আগস্ট ২০২৪, ১৬:১০

রাতে হুমকি দিয়ে দিনে যার নামে মামলা করলেন ওমর সানী
ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের দর্শকপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। অভিনয়ে আগের মতো নিয়মিত নন। সর্বশেষ তাকে ‘ডেডবডি’ সিনেমায় দেখা গেছে। অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যথেষ্ট নিয়মিত ওমর সানী। বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি। এবার প্রকাশ করেছেন ক্রোধ। মাঝরাতে দিয়ে বসেছেন হুমকি। সেমবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ওমর সানী। সেখানে এ নায়ক লেখেন, আজকে আমি কোর্টে যাচ্ছি, তোরে আমি…।  মাঝরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় নায়কের এমন স্ট্যাটাস দেখে নড়েচড়ে ওঠেন নেটাগরিকরা। অনেকে কৌতূহলী হয়ে জানতে চান কারণ। তবে সে সময় কিছুই বলেননি ওমর সানী। এবার ওমর সানী জানালেন রাতে যাকে হুমকি দিয়েছিলেন মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে তার নামে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। ওমর সানী বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে যে ব্যবসায় প্রতারণা করেছিল। ওই মামলা আছে আর এ ছাড়া একজনকে ধার দিয়েছিলাম কিছু টাকা। পরিমাণে সামান্য। তার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। চাইলে ১০ মিনিটে দিতে পারে। কিন্তু দিচ্ছে না। উল্টো হুমকির সুরে কথা বলছে। এটা নিয়ে আদালত পর্যন্ত আসতাম না। কিন্তু যখন হুমকির সুরে কথা বলল তখন আমার মনে হয়েছে দুনিয়াতে এসেছি একবার যাব একবার। এজন্য মামলা করে দিয়ে এসেছি। যার বিরুদ্ধে (হুমকিদাতার) মামলা করেছেন তার পরিচয় জানতে চাইলে বিস্তারিত না জানিয়ে এ নায়ক বলেন, আমাদের সার্কেলেরই একজন। ছোট ভাইয়ের মতো। এর আগে ওমর সানীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন ব্যবসায় লাভের আশায় লগ্নি করে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা (ওমর সানীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী) লোকসান দিয়েছিলেন। এজন্য দায়ী করেছিলেন নিশাত বিন জিয়া নামের এক ব্যক্তিকে। নিয়েছিলেন আইনি পদক্ষেপ। এ মামলাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে সানী বলেন, এটা সময়ের ব্যাপার। আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন সেভাবেই হবে। এই মামলার জন্য মাঝে মাঝেই আমাদের আদালতে আসা যাওয়া করতে হয়।
০৯ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪৫

মধ্যরাতে ওমর সানীর রহস্যময় স্ট্যাটাস, কমেন্টেসে ‌‘ডিভোর্স’ প্রসঙ্গ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের দর্শকপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত তিনি। এবার মধ্যরাতে ফেসবুকে এক রহস্যময় স্ট্যাটাস দিয়ে ফের আলোচনায় তিনি। সোমবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফেসকুকে এক স্ট্যাটাস তিনি লিখেছেন, ‘আজকে আমি কোর্টে যাচ্ছি, তোরে আমি...।’   স্ট্যাটাস দিয়েই নেটিজেনদের বিভিন্ন প্রশ্নে রাগও প্রকাশ করেছেন তিনি। অনেকের প্রশ্নের রিপ্লাই দিয়ে সেটি প্রকাশও করেছেন এ অভিনেতা। মো. মুকসাদুল হাসান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ওমর সানীর স্ট্যাটাসের কমেন্টে লিখেছেন, ‘ডিভোর্স দিয়ে দিলেন নাকি’। রিপ্লাইয়ে সানী লিখেছেন, ‘কাকে ভাই তোমার ওয়াইফ’। মোহাম্মদ আলাউদ্দিন নামে অপর এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর কমেন্টেসে লিখেছেন, ‘এত রাতে কোর্ট বন্ধ... মাথা ঠান্ডা করুন ভাইজান’। রিপ্লাইয়ে সানী লিখেছেন, ‘বারোটার পর সকালের কথা বলা হয় বুইঝা কথা বললেন বোকা।’ ‘চৌধুরী সাহেব আবার আপনার পিছু লেগেছে!’- কাজী হাসনাইন আহমেদ নামে একজন মজা করে এমনটাই লিখেছেন। সবশেষ ওমর সানীকে দেখা গেছে ‘ডেডবডি’ নামের একটি সিনেমায়। এটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ ইকবাল। ওমর সানী ছাড়াও অভিনয় করেছেন জিয়াউল রোশান, অন্বেষা, শ্যামল মওলা, রাশেদ মামুন অপু, মিষ্টি জাহান প্রমুখ।
০৯ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪

শিল্পী সমিতির সদস্য থাকতে চান না ওমর সানী
ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের দর্শকপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি। এবার তিনি কথা বললেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে। জানালেন শিল্পী সমিতির সদস্য হিসেবে থাকতে চান না তিনি। সামাজিক মাধ্যমে কথাটি জানিয়েছেন এই অভিনেতা।  শনিবার (২৫মে) নিজের ফেসবুকে এ নায়ক লেখেন, আমি আর শিল্পী সমিতিতে সদস্য হিসাবে থাকতে চাচ্ছি না, আমি কয়েক দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট সাহেবের কাছে চিঠি পাঠাব। আমার সমস্ত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা রইল। তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি ওমর সানী। কারণ জানতে যোগাযোগ করা হলে সানি জানান, তিনি মিটিংয়ে আছেন। এদিকে, কয়েকদিন ধরেই বেশ আলোচনায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। তবে সিনেমা বিষয়ক কোনো কারণে নয়। বরাবরের মতো গ্রুপিং, চেয়ারের লোভ ও মামলার কারণে আলোচনায় সংঠনটি। এতে চলচ্চিত্রের অনেকেই বিরক্ত। সবশেষ ওমর সানীকে দেখা গেছে ‘ডেডবডি’ নামের একটি সিনেমায়। এটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ ইকবাল। ওমর সানী ছাড়াও অভিনয় করেছেন জিয়াউল রোশান, অন্বেষা, শ্যামল মওলা, রাশেদ মামুন অপু, মিষ্টি জাহান প্রমুখ।
২৫ মে ২০২৪, ১৮:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়